রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সাবরাংয়ের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেনের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব সোনা আলী।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে সোনা আলী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলেও সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত নেতাদের কারণে নির্বাচনে হেরে গেছি। তাদের অনুসারী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নুর হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেন।
আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীরা নৌকার বিপরীতে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এবং বিদ্রোহী প্রার্থী নুর হোসেন জয়ী হওয়ার পর বিএনপির জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দ-হৈ হুল্লোড় করেন। তারা আমার এলাকায় এসে ভাঙচুর করেছে, দলীয় নেতা কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙচুর, মারধর করার পাশাপাশি নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নৌকা প্রার্থী আলহাজ্ব সোনা আলী।
তিনি বলেন, নুর হোসেনের কয়েকজন সহযোগী যথাক্রমে কক্সবাজার জেলার আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি শফিক মিয়া, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পরাজিত করতে বিভিন্ন ধরণের নীল নকশা প্রণয়ন করে। নৌকা পরাজিত করতে তাদের নীল নকশা চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করেন ২০ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিত ভোটের দিন।
সোনা আলী বলেন, ‘আমার এলাকার যে ৩টি ওয়ার্ডের ভোটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতীক বিজয়ে সুনিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সে ৩টি ওয়ার্ডে প্রশাসনের অতি প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা ছিল। শাহপরীর দ্বীপ এলাকার ৩টি ওয়ার্ডে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারীর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ভোটের সকাল থেকে আমার কর্মী সমর্থকদের ধাওয়া লাঠিপেটা করতে থাকে। এমনকি তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নৌকা ব্যাচধারী কোন ব্যক্তিকে কেন্দ্রে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি। যার গলায় নৌকার কার্ড ঝুলানো দেখেছে তাকেই লাঠিপেটা এবং ধাওয়াসহ নাজেহাল করেছে। ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় তার বাহিনী কে বেআইনীভাবে ভোটের দিন শেষ পর্যন্ত নৌকার সমর্থিত কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদেন কোনঠাসা করে রাখেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনিক এত ষড়যন্ত্রের মধ্যে আমি সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদিকে বরাবর ফোন দিয়েও সংযোগ পায়নি। দলের সিনিয়র নেতাদের এমন আলাপ আমিসহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ব্যাপক হতাশা এবং ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। প্রশাসনিক গভীর ষড়যন্ত্র এবং দলীয় নেতাদের বিরোধীতার কারণে সাবরাং ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক হেরেছেন। তাই আমি ভোটের দিন প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রের ন্যাক্কারজনক অবস্থান পূন ব্যক্ত করে বিশেষ করে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত পূর্বক বাতিল ঘোষনা করে ঐ ৩টি ওয়ার্ডে পুন: নির্বাচন দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সোনা আলীর বড় ছেলে আকবর বাদশা, ফাহাদ আলী ফাহাদ, নৌকার কর্মী নূর মোহাম্মদ ও সোনা আলীর নাতি ইমরান আলী ইমনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply